আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষ ও দোষারোপ অব্যাহত

বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার সংঘর্ষ রবিবারও অব্যাহত রয়েছে। উভয়েই একে অন্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে অন্তরায় সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছে। আর্মেনিয়া বেসামরিক স্থাপনায় হামলার জন্য আজারবাইজানি সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তবে বাকু এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, আর্মেনিয়া সেনা প্রত্যাহার করলে তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

_115036359_mediaitem115036357
খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জোর দেন। কিন্তু এই উদ্যোগের পরও শনিবার ও রবিবার নাগোরনো-কারাবাখে সংঘাত চলেছে।
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়। রুশ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দুই পক্ষ মস্কোতে অস্ত্রবিরতির আলোচনায় সম্মত হয়। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরপরই উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে এবং পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে।
দোষারোপের রাজনীতি
নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাতে আজারবাইজানের সেনারা আসকেরান ও মারতুনি এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে। আর আজারবাইজান দাবি করেছে, তাদের অবস্থানে মর্টার ও ট্যাংকসহ ছোট অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, শান্তি আলোচনার কার্যকারিতা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এটি নির্ভর করছে আর্মেনিয়া মেনে চলবে কিনা, তার ওপর।
তিনি আরও বলেন, কেন জর্জিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন ও অন্য দেশে আর্মেনীয় ও আজেরিরা একসঙ্গে থাকতে পারে কিন্তু নাগোরনো-কারাবাখে পারবে না।
আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান অভিযোগ করেছেন, আজারবাইজান আগ্রাসী, একরোখা ও ধ্বংসাত্মক।
রবিবার নাগোরনো-কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরও ১১ সেনা নিহত হয়েছে। এতে চলমান সংঘাতে তাদের নিহত সেনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭৪ জনে।
বিশ্ব শক্তিগুলো বড় ধরনের যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সংঘর্ষ বাড়তে থাকলে এতে জড়িয়ে পড়তে পারে তুরস্ক ও রাশিয়া। কারণ, আজারবাইজানের মিত্র তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে রাশিয়ার।