মারা গেছেন দ. কোরিয়ার তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম সেনা সদস্য

তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম মানুষ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাইয়ুন হে-সু মারা গেছেন। নিজ বাড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার মৃত্যুর কারণ এখন জানা যায়নি। লিঙ্গ বদলের সার্জরি করানোর পর এই সেনা সদস্যকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই শুরু করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর গত বছরের জানুয়ারিতে আইনি লড়াই শুরু করেন বাইয়ুন হে-সু। তবে জুলাইতে তার চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার কর্মী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি।

২৩ বছর বয়সী বাইয়ুন হে-সু গাইয়েনগি প্রদেশের বাড়িতে অবস্থান করে একটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরামর্শ নিচ্ছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তার কোনও সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন তার পরামর্শকেরা। পরে তারা জরুরি সার্ভিসকে ডেকে পাঠান। তারাই তার বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

লিঙ্গ পরিচয় সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও রক্ষণশীল দক্ষিণ কোরিয়া। বাইয়ুনের মামলার পর দেশটির সেনাবাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গ এবং সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামর্থ্যবান সব পুরুষকেই প্রায় দুই বছর পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয় বাইয়ুনকে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনও আইনগত ভিত্তি নেই।