মিয়ানমারে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সামরিক সরকার

সামরিক শাসনে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে সাত শতাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশটির সামরিক সরকার বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে। তবে এসব বন্দিদের বেশিরভাগই ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানে আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, শনিবার থেকেই মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন জেল থেকে অন্তত ৮০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়। প্রতিবছর থিংগ্যান বা বৌদ্ধ নববর্ষ উপলক্ষে কিছু সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয় মিয়ানমারে। কিন্তু সেনাশাসনে তুমুল বিক্ষোভের মাঝেও সেই প্রথা পালন করা নিয়ে সন্দেহ ছিল।

যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তারা মূলত চুনোপুঁটি। আসলে গণতন্ত্রকামীদের বন্দি করার উদ্দেশেই কারাগারে জায়গা খালি করছে জান্তা সরকার।

উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের শাসন নিজের হাতে নিয়ে নেয় টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা। স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু চি-সহ আটক করা হয় নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এর পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। পাল্টা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। বাড়ছে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা। বিশেষ করে একদিনে শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যার পর থেকেই চরমে পৌঁছেছে সংঘাত। তারপর থেকেই মিয়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে।