এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কবলে মিয়ানমারের জেনারেলরা

মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী দশ সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন দুইটি বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর রক্তক্ষয়ী নিপীড়নের কারণে এটাই সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের শাসন নিজের হাতে নিয়ে নেয় টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা। স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু চি-সহ আটক করা হয় নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এর পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। পাল্টা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। বাড়ছে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা। 

সোমবার মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তা ও তাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো বলেছে, এরা সকলেই মিয়ানমারের গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন উপেক্ষার জন্য দায়ী।’ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সম্পত্তি জব্দ এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গঠন করা মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) দেশটিতে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন উপেক্ষা করায় দায়ী। ইইউ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসএসি’র নিয়ন্ত্রণে থাকা সামরিক বাহিনী এবং কর্তৃপক্ষ ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন, বেসামরিক মানুষ এবং নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া মিয়ানমারের নয় সেনা কর্মকর্তাই স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের সদস্য। বাকি একজন হলেন তথ্যমন্ত্রী উ চিন নাইং। এছাড়া সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন এবং নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার ইকোনোমিক হোল্ডিংস পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (এমইএইচএল) এবং মিয়ানমার ইকোনোমিক কর্পোরেশন লিমিটেড (এমইসি) এর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।