আসিয়ানে মিয়ানমারের সদস্যপদ বাতিলের আহ্বান

দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান থেকে মিয়ানমারের সামরিক নেতার বৈধতা ও আঞ্চলিক সংস্থাটি থেকে দেশটির সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে এই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় সংস্থাগুলো। আসিয়ান সম্মেলনে মিয়ানমারের সামরিক সরকার প্রধানের অংশগ্রহণের প্রস্তুতির সময়ে এই আহ্বান জানানো হলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাপ্রধান। সামরিক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। শনিবার দশ সদস্যের আসিয়ানের বৈঠকের সাত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ গ্রহণ করবেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বৈঠকে তারা নিজেদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠাবেন। আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম।

আসিয়ানের এই বৈঠক মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সাত শতাধিক প্রাণহানির পর দেশটির অবস্থা স্থিতিশীল করতে প্রথম আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। আসিয়ানের জন্যও এটি একটি পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সাধারণত জোটটি সদস্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে।

শুক্রবার ফর্টি রাইটস নামের মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, অভ্যুত্থানের সেনা মিন অং হ্লাইংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আসিয়ান মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক নেতাদের অস্বীকার করছে। এর মধ্য দিয়ে জোটটি অবৈধ ও নৃশংস সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক ইসমাইল উল্ফ বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান যদি অবিলম্বে সামরিক শাসনের অবসান ও বেসামরিকদের ওপর হামলা বন্ধ না করেন তাহলে আসিয়ানের উচিত দেশটির সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করা।

এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন সংস্থাটিও আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য।