মিয়ানমারে অভিযুক্ত জাপানি সাংবাদিক

অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সময় আটক হওয়া জাপানি সাংবাদিক ইয়োকি কিতাজুমিকে অভিযুক্ত করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সোমবার  বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে দেশটির ‘ফেইক নিউজ’ আইনে এই ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদোর খবরে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ফেইক নিউজ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। অভুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সময় কিতাজুমিসহ৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে আটক করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রাজপথে বিক্ষোভ শুরু হলে দমন নীতি গ্রহণ করে সেনা সরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৭৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। সাংবাদিকসহ বহু মানুষকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

জাপানি দূতাবাস কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কিয়োদো জানিয়েছে, সাংবাদিক ইয়োকি কিতাজুমিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে তার স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে। এই কারাগারটি রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর নীপিড়নের জন্য কুখ্যাত।

অভুত্থানের পর দ্বিতীয় বারের মতো গত ১৮ এপ্রিল আটক হন ইয়োকি কিতাজুমি। ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার সময় তাকেও একবার মারধরের পর আটক করা হয়। ওই সময় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মিয়ানমারকে দীর্ঘদিন ধরে সহায়তা দিয়ে আসা দেশ জাপান। ইয়োকি কিতাজুমিকে মুক্তি দিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জাপান সরকার। যুক্তরাজ্য সফরের সময় সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমরা আটক থাকা জাপানি নাগরিকের আগাম মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো।’