করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে হতাশ উত্তর কোরিয়া

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই চালাতে হবে বলে সতর্ক করেছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার (৪ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এমন আভাস দেওয়া হয়। বিশ্বের ওষুধ কোম্পানিগুলো যেসব ভাকসিন তৈরি করেছে তার কোনোটি এখনও নিজেদেরকে ‘সর্বজনীন আরোগ্যদানকারী’ হিসেবে প্রমাণ করতে পারেনি বলেও হতাশা প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তর কোরিয়া সরকার এখন পর্যন্ত তাদের দেশে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেনি। তবে দক্ষিণ কোরিয়া বলে আসছে উত্তর যেহেতু চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করে এবং দুই দেশের মানুষের যোগাযোগ রয়েছে সেক্ষেত্রে সেদেশেও প্রকোপ ছড়িয়ে থাকতে পারে।

মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের নিজস্ব সংবাদপত্র রোডং সিনমুন-এর এক প্রতিবেদনে হতাশা জানিয়ে বলা হয়, ভ্যাকসিন তৈরি হওয়া সত্ত্বেও মহামারি পরিস্থিতি কেবলই খারাপ হচ্ছে।

বিদেশে আক্রান্তের খবর বাড়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয় ‘বিভিন্ন দেশ প্রতিযোগিতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। মনে করা হচ্ছিলো এগুলো মানবতর জন্য আশার আলো যা ভয়ঙ্কর এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অবসান ঘটাবে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তাতে স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে যে এ ভ্যাকসিনগুলো সর্বজনীন আরোগ্যদানকারী হয়ে উঠতে পারেনি।’

এ মহামারিকে ‘অনিবার্য বাস্তবতা’ হিসেবে মেনে নেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

এ বছরের শেষ মাঝামাঝি নাগাদ কোভ্যাক্স আন্তর্জাতিক জোটের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রায় ২০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল উত্তর কোরিয়ার। তবে গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উত্তর কোরীয় প্রতিনিধি এডউয়িন সালভাদর জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের জোগান কম থাকায় সরবরাহ পেতে বিলম্ব হবে।