কোভ্যাক্সের আওতায় লক্ষাধিক ডোজ ভ্যাকসিন পেলো পাকিস্তান

করোনার টিকা সরবরাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স উদ্যোগ থেকে লক্ষাধিক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে পাকিস্তান। শনিবার ইউনিসেফ-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কোভ্যাক্স-এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন ও দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুত করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইউনিসেফ জানিয়েছে, কোভাক্সের মাধ্যমে ফাইজার ভ্যাকসিনের এক লাখেরও বেশি (এক লাখ ছয় হাজার) ডোজ পাকিস্তানে পৌঁছেছে। আগামী দুই দিনে ফাইজার ডিলুয়েন্টস এবং সিরিঞ্জের চালানগুলোও দেশটিতে পৌঁছাবে। এসব ভ্যাকসিন পাকিস্তান সরকারের চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।

এ নিয়ে কোভ্যাক্সের পাঠানো ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান পেলো পাকিস্তান। এর আগে এ মাসের গোড়ার দিকে এ কর্মসূচির আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১২ লাখ ডোজেরও বেশি টিকা পেয়েছিল ইসলামাবাদ। আগামী কয়েক দিনের মাথায় আরও ১২ লাখ ৩৬ হাজার ডোজের আরও একটি চালান দেশটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তানের মোট এক কোটি ৭২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা রয়েছে। গত সপ্তাহেই ১৯ বছরের বেশি বয়সী সবার জন্য টিকার নিবন্ধন উন্মুক্ত করে দেয় পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভ্যাকসিন জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, রাশিয়ার স্পুটনিক, চীনের সিনোফার্ম, ক্যানসিনো এবং সিনোভ্যাক। এছাড়া চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় নিজ দেশে ক্যানসিনো টিকা উৎপাদন করছে দেশটি।

দুনিয়াজুড়ে কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় টিকা সরবরাহের এই উদ্যোগ এতো দিন ধরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওপরই নির্ভরশীল ছিল। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়। ফলে কোভ্যাক্স উদ্যোগের জন্য ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্নার মতো বিকল্প উৎসের দিকে ঝুঁকতে হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।