পাকিস্তানে দুই যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় শখানেক মানুষ। ৭ জুন সোমবার ভোরে সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার ধারকি শহরের কাছে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন।
ঘোটকি জেলার এসএসপি উমর তোফায়েল সোমবার রাতে ডন-কে জানান, মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। রাতে একসঙ্গে আরও ১১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। মিল্লাত এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটির ধ্বংসাবশেষের ভেতরে এখনও ১৫-২০ জন আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন এসএসপি উমর তোফায়েল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান রেলওয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, করাচি থেকে সারগোদা যেতে থাকা মিল্লাত এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের আরেকটি লাইনে উঠে যায়। ওই সময় রাওয়ালপিন্ডি থেকে ছেড়ে আসা স্যার সাইয়্যেদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাইতি রেলওয়ে স্টেশনের একটু আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ের মুখপাত্র জানান, উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। করাচি, সুক্কুর, ফয়সালাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে যাত্রীদের জন্য হেল্পলাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। লাইন পরিষ্কার হয়ে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। ঘোটকি জেলার ডেপুটি কমিশনার উসমান আবদুল্লাহ জানান, দুর্ঘটনায় ট্রেনের ১৩ থেকে ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এছাড়া ছয় থেকে আটটি বগি ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আটকে পড়া যাত্রীদের বের করে আনা উদ্ধারকারীদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।