নিজ দেশে খাদ্য সংকটের কথা স্বীকার করলেন কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আনুষ্ঠানিকভাবে তার দেশে খাবার সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন নেতাদের এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, জনগণের খাবার পরিস্থিতি এখন চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গত বছর টাইফুন এবং তার পরবর্তী বন্যার কারণে কৃষি খাত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তর কোরিয়ায় খাবারের মূল্য বৃদ্ধির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এনকে নিউজের খবরে বলা হয়েছে এক কেজি কলার দাম পৌঁছেছ ৪৫ ডলারে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছে উত্তর কোরিয়া। এর ফলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য কমে গেছে। খাবার, সার ও জ্বালানির জন্য চীনের ওপর নির্ভর করে উত্তর কোরিয়া।

নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে ধুঁকছে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি। এক দলীয় রাষ্ট্রের কর্তৃত্ববাদী নেতা কিম জং উন ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কথা বলেছেন। এই বৈঠক রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে শুরু হয়েছে।

ওই বৈঠকে কিম জং উন জানান দেশের শিল্পের উৎপাদন গত বছর একই সময়ের তুলনায় এক চতুর্থাংশ বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন নেতারা। তবে এই বিষয়ে কোনও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

গত এপ্রিলে খাবার সংকট নিয়ে হুঁশিয়ার করেন কিম জং উন। ওই সময়ে তিনি বলেন, তার দেশ আরেকটি দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকে চরম দুর্ভিক্ষের মুখে পড়ে দেশটি। ওই সময়ে কতো মানুষের মৃত্যু হয় তার হিসেব না থাকলেও ধারণা করা হয় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায়।