আবারও চীনে উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়ন এড়িয়ে গেলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবারও চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের কথা এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে উইঘুর ইস্যুতে যেসব খবর আসছে বাস্তব চীনে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে তারা চীনের বক্তব্যকেই বিশ্বাস করেন। বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এখবর জানিয়েছে।

উইঘুর ইস্যুতে ইমরান খান বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের চরম নৈকট্য ও সম্পর্কের কারণে আমরা সত্যিকার অর্থে চীনের বক্তব্যই বিশ্বাস করি।

এর আগে গত মাসে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে সরব হলেও উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা নিপীড়নের বিষয়ে তার নীরবতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমরান খান বলেছিলেন, তিনি ‘তার দেশে সীমান্তে কী ঘটছে তা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

এইচবিও অ্যাক্সিওসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছিলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে পর্দার আড়ালে তিনি কথা বলেছেন এবং তাকে জানানো হয়েছে ঘটনা এমন না।

সম্প্রতি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিমদের নিয়ে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এতে সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর ও সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে চীন।

এর আগে এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও প্রায় একই ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছিল, তারা বিশ্বাস করে চীনের সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে উইঘুরদের প্রতি চীনের নীতিকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। চীন অবশ্য উইঘুরদের বিরুদ্ধে কোনও অত্যাচারের কথা অস্বীকার করে। তাদের অভিযোগ, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের দেশগুলো হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।

ইমরান খান বলেন, এটি ভণ্ডামিপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এরচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম খুব কমই এগুলো নিয়ে মন্তব্য করে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, চীন সব সময় পাকিস্তানের যে কোনও সংকটে সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিকভাবে বা আন্তর্জাতিকভাবে।

তিনি আরও বলেছেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। তার কথায়, আমাদের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এটি খুবই দৃঢ়।