যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা আসলে ‘অশুভ পরিকল্পনা’: পিয়ংইয়ং

যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তাকে ‘অশুভ রাজনৈতিক পরিকল্পনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পিয়ংইয়ং। রবিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়েবসাইটে এমন মন্তব্য করা হয়। এতে বলা হয়, অন্য দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এসব সহায়তা দিয়ে থাকে ওয়াশিংটন।

উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত এক্সচেঞ্জ প্রচারের জন্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত সমিতির একজন সিনিয়র গবেষক কং হায়ন চোল। তার দাবি, মানবিক সহায়তাকে মানবাধিকার ইস্যুর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সার্বভৌম দেশগুলোর ওপর মার্কিন চাপকে বৈধতা দেওয়া এবং অশুভ রাজনৈতিক পরিকল্পনা অর্জন করা।

উদাহরণ হিসেবে তিনি আফগানিস্তানের কথা উল্লেখ করেন। কং হায়ন চোল বলেন, আফগান সরকারকে এখন তারা সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, যেখানে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সেনাদলটিও আফগানিস্তান ছাড়তে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দুনিয়ার বহু দেশই মার্কিন সহায়তা এবং মানবিক সহায়তা নিয়ে অনেক আশা পোষণ করার তিক্ত স্বাদ পেয়েছে।

এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তাকে ‘অশুভ পরিকল্পনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করলো পিয়ংইয়ং যখন তারা বেইজিং-এর সঙ্গে আরও সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছে। রবিবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিদেশি শত্রুতা মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন। বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিনিময় করা বার্তায় তারা এই অঙ্গীকার করেন।

চীনের প্রেসিডেন্টকে পাঠানো বার্তায় উত্তর কোরীয় নেতা বলেছেন, বিদেশি শত্রু বাহিনী মোকাবিলায় তাদের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আর চীনা প্রেসিডেন্ট সহযোগিতাকে নতুন ধাপে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

১৯৬১ সালে উভয় দেশ চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশ চীন। পিয়ংইয়ংয়ের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটি বাণিজ্য ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য বেইজিংয়ের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বন্ধুত্বের চুক্তি অনুসারে, হামলার শিকার হলে একে অন্যকে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।