সাবরিকে সমর্থনকারী এমপিদের তলব করেছেন মালয়েশিয়ার রাজা

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? তা নিয়ে দেশটিতে চলছে উত্তেজনা। দেশটির নবম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম এবং সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব। এদিকে সাবরিকে সমর্থনকারী এমপিদের বৃহস্পতিবার তলব করেছেন দেশটির রাজা আল-সুলতান আবদুল্লাহ। দেশটির সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন)-এর সঙ্গে যুক্ত দলগুলোর এমপিদের বৃহস্পতিবার রাজপ্রাসাদে তলব করা হয়েছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের প্রতি তাদের সমর্থন যাচাইয়ের জন্য ঢাকা হয়েছে তাদের।

সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে উমনোর মহাসচিব দাতুক সেরি আহমেদ মাসলান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার এমপিরা রাজপ্রাসাদে যাচ্ছে। সকাল ১০টায় জিপিএস, ১১টায় পিপিবিএম, বেলা ২টায় উমনো, ৩টায় উমনো-বিএন এবং বিকাল ৪টায় পিএএস-এর পার্লামেন্টারিয়ানদের সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে।

উমনোর ডেপুটি প্রেসিডেন্ট দাতুক সেরি মোহাম্মদ হাসানও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের প্রতি সমর্থন যাচাইয়ের জন্য এমপিদের তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজপ্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আস্থা ভোট নেওয়া উচিত। কারণ বৈধতা অর্জনের জন্য এটি একটি সাংবিধানিক বিষয়।

এর আগে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার সকালে রাজার কাছে পদত্যাগপত্র নিয়ে হাজির হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। তবে রাজা তাকে আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন।

এক ভাষণে মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, ‘আমি চাইলে অসদুপায় অবলম্বন করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদ ধরে রাখতে পারতাম। কিন্তু এভাবে আমি ক্ষমতায় থাকতে চাইনি।’ নিজের মেয়াদে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলেও দাবি করেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী।

মালয়েশিয়ায় ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো মুহিউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে সম্প্রতি রাজপথে নেমে আসে মানুষ। তার বিরুদ্ধে মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতা, স্বেচ্ছাচারিতা, মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনর্গঠনে সঠিক নির্দেশনা দিতে না পারা এবং অযৌক্তিকভাবে রাজাকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।