গনিমতের মাল নিয়েও তালেবানে বিরোধ

আফগানিস্তানে তালেবান নেতাদের মধ্যে বিরোধের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এর ফলে গত মাসে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া গোষ্ঠীটির ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই মাসের শুরুতে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মোল্লা আবদুল গণি বারাদার জনসম্মুখ থেকে সরে গেলে এই সন্দেহ আরও বাড়ে। পরে তার হত্যার খবরও ছড়িয়ে পড়ে।

একটি রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তা দিয়ে বারাদার পুনরায় হাজির হন। লিখিত বক্তব্যের মতো তিনি বলেন, ভ্রমণের জন্য তিনি জনসম্মুখে ছিলেন না। তালেবানও দাবি করেছে, তাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।

মৃত্যু বা আহতের গুজব উড়িয়ে দিতে সোমবার জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারাদারের বৈঠকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কয়েকটি সূত্র কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছে, তালেবান নেতাদের মধ্যে বিরোধের খবর সত্যি। তারা বলছেন, যদি এই মতানৈক্য বাড়ে তাহলে আফগান জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে।

তালেবান নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক থাকা এক রাজনৈতিক সূত্র জানায়, শীর্ষ নেতাদের বিরোধ তৃণমূল পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। তালেবান যোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সাবেক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সম্পত্তি দখল করছে।

তার কথায়, এখন তারা শুধু মানুষের গাড়ি ও বাড়ি দখল করছে।

সাবেক কর্মকর্তাদের কয়েকটি পরিবারও জানিয়েছে, তালেবান যোদ্ধারা তাদের বাড়ি, গাড়ি ও সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে।

অথচ তালেবানের মুখপাত্র কাবুল দখলের দুই দিন পরে বলেছিলেন, তাদের যোদ্ধাদের কারও বাড়িতে প্রবেশ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত কয়েকটি সূত্র জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি যেমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন, তালেবান নেতারাও একই পরিস্থিতিতে রয়েছেন।

সূত্র জানায়, আগের সরকারের মতো তালেবানের বিরোধও ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তবে আগের প্রশাসনে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। কিন্তু তালেবানের এই বিরোধ আরও বেশি মৌলিক।  

সূত্র মতে, তালেবানে এখন গনিমতের মালের অপেক্ষায় থাকা যোদ্ধাদের সঙ্গে জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চাওয়া রাজনীতিকদের বিরোধ রয়েছে।