‘আল্লাহ প্রতিশোধ নেবেন’, কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহতদের স্বজন

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ১০ স্বজনদের মধ্যে আইমাল আহমদির মেয়েও ছিল। তার ৩ বছরের মেয়ে মালিকাসহ অপর ৯ আত্মীয় ২৯ আগস্ট ড্রোন হামলায় নিহত হন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পরে তদন্তে উঠে আসে ভুল করে বেসামরিকদের ওপর এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর বলেছে, ড্রোন হামলাটিতে বেসামরিক নিহতের ঘটনায় কোনও সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। কোনও মার্কিন সেনা বা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে না

এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় ৩২ বছর বয়সী আইমাল আহমদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আল্লাহ প্রতিশোধ নেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই। যুক্তরাষ্ট্র এক সন্তান হারালে কী হতো? তখন কেমন প্রতিক্রিয়া হতো?

পেন্টাগন ক্ষতিপূরণ এবং বেঁচে থাকা স্বজনদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু আহমদি জানান, মার্কিন সরকার বা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তাদের সরাসরি কিছু বলা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে কেবল জানতে পারছি যে তারা দুঃখিত।

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের তালেবান সরকার যুক্তরাষ্ট্র কাউকে বিচারের মুখোমুখি না করার সিদ্ধান্তটি পুনরায় বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।  

আহমদির ভাই জেমারি ড্রোন হামলায় নিহত হন। তিনি মার্কিন দাতা সংস্থা নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালে ওই সময় কর্মরত ছিলেন। গত মাসে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট স্টিভ কৌন পেন্টাগনের তদন্তকে চরম হতাশাজনক ও অপর্যাপ্ত বলে উল্লেখ করেছেন।

ড্রোন হামলায় নিহতদের স্বজনরা মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মুখোমুখি ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন।