মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলা, পালিয়ে থাই সীমান্তে বহু মানুষ

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেনি আর্মি (কেএ) ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। থাই সীমান্তবর্তী পাহাড় হাওয়ে পু লং সীমান্তের ক্যাম্পে শুক্রবার পাঁচবার বিমান হামলা হয়। এমন দাবি করেছেন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি (কেএনপিপি) সেক্রেটারি খু ড্যানিয়েল।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, বিমান হামলার পর থেকে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জান্তার হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে থাই প্রদেশের মায়ে হং সং-এ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন প্রায় দুইশ গ্রামবাসী। হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

হাওয়ে পু লং-এ অতীতেও (কেএ) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর খবর পাওয়া যায়। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় বসার পর থেকে এ অঞ্চলে আবারও অস্থিরতা বেড়েছে।

কারেনি আর্মি (কেএ) ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। প্রতিরোধ বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইতোমধ্যে তারা মিয়ানমারের জান্তা সেনাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

সেক্রেটারি খু ড্যানিয়েল সতর্ক করে বলেছেন, এই রাজ্যে যতদিন জান্তা বাহিনী থাকবে তাদের লড়াই চলবে। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন তিনি।

প্রতিরোধ বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লোইকাও, ডেমোসো টাউনে লড়াইড়ে দুই ক্যাপ্টেনসহ অন্তত সরকারের ২৩ সেনা নিহত হয়েছেন। সংঘাতে আহত হন আরও অনেকে। তবে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ ঘটনা স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন তেরেশোর বেশি সাধারণ মানুষ।