তালেবান সরকারের স্বীকৃতি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো ইরান

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের স্বীকৃতি প্রশ্নে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ইরান। রবিবার তেহরানে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ওই বৈঠকের পর তেহরানের বিবৃতিতে বলা হয়, তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে এখনও কিছুটা দূরে রয়েছে ইরান। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

তালেবান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রবিবার অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের ওই আলোচনা ইতিবাচক ছিল বলে জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ। তবে তিনি বলেন, আলোচনা ইতিবাচক হলেও এখনই তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পর্যায়ে নেই তেহরান।

সাঈদ খতিবজাদেহ বলেন, আফগানিস্তানের বিদ্যমান পরিস্থিতি ইরানের জন্য উদ্বেগজনক। মূলত সেই উদ্বেগ প্রশমনের লক্ষ্য নিয়েই তেহরান সফরে এসেছেন দেশটির প্রতিনিধিরা।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট প্রায় বিনা বাধায় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। পালিয়ে দেশ ছাড়েন পশ্চিমা সমর্থিত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি। তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী ইরান সফরে গেলেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অন্যান্য দেশের মতো ইরানও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। বরং দেশটিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসন দেখতে চায় তেহরান। সুন্নি প্রভাবিত তালেবানের আগের মেয়াদেও দলটির নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি শিয়া অধ্যুষিত ইরান। তবে ইরানে এরইমধ্যে লক্ষাধিক আফগান শরণার্থী রয়েছে। নতুন করে শরণার্থীদের আরও স্রোত তৈরির আশঙ্কা করছে তেহরান। ফলে তালেবান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিয়ে আপত্তি থাকলেও শরণার্থীদের স্রোত সামলাতে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে তেহরান।