ইরানে ‘পাঞ্জশিরের সিংহের’ ছেলের সঙ্গে তালেবান মন্ত্রীর সাক্ষাৎ

ইরানে আহমেদ মাসুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তেহরান সফরের সময় এই সাক্ষাৎ হয়েছে বলে সোমবার জানান তিনি। আফগানিস্তানে ফিরে গেলে তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তালেবান মন্ত্রী।

আফগান প্রতিরোধের কিংবদন্তি নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ। গত আগস্টে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও মাসুদের পাঞ্জশির উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারেনি তালেবান। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকে ছিল আহমেদ মাসুদের প্রতিরোধ। পরে তালেবানের হামলায় শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ ছেড়ে পালিয়ে যান আহমেদ মাসুদ।

সোমবার তালেবান নিয়ন্ত্রিত একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, আহমেদ মাসুদ ছাড়াও তিনি হেরাত প্রদেশের যুদ্ধবাজ নেতা ইসমাইল খানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। ইসমাইল খান তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করে আফগানিস্তান ছেড়ে যান।

তালেবানের তরফ থেকে আমির খান মুত্তাকির তেহরান সফরের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয় ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। তবে নির্বাসিত নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ওই ঘোষণায় কিছু জানানো হয়নি।

ভিডিও বার্তায় আমির খান মুত্তাকি বলেন, ‘আমরা কমান্ডার ইসমাইল খান, আহমেদ মাসুদ এবং ইরানে অবস্থানরত অন্য আফগান নাগরিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাদের আশ্বস্ত করেছি, যে কেউ আফগানিস্তানে ফিরতে পারে আর কোনও উদ্বেগ ছাড়াই জীবন কাটাতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এটা সবার বাড়ি, আর আমরা কারও জন্য নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অন্য সমস্যা তৈরি করি না। সবাই স্বাধীনভাবে আসতে পারে আর বাঁচতে পারে।’

১৯৮০’র দশকে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত পাঞ্জশির উপত্যকা। ১৯৯০ দশকে প্রথম শাসনামলেও সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি তালেবান। এই প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় নেতা ছিলেন আহমেদ শাহ মাসুদ। তাকে ডাকা হতো পাঞ্জশিরের সিংহ নামে। ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার মাত্র দুই দিন আগে তাকে হত্যা করে আল কায়েদা। তার মৃত্যুর পর প্রতিরোধ লড়াই চালিয়ে যান তার ছেলে আহমেদ মাসুদ।