সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনায় বসছে তুরস্ক-আর্মেনিয়া

পুরনো দ্বন্দ্ব ভুলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে মস্কোয় আলোচনায় বসছে তুরস্ক ও আর্মেনিয়া। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি সীমান্ত চালুর কথা রয়েছে। গত তিন দশক ধরে তুরস্ক-আর্মেনিয়ার বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ।

তবে ২০০৯ সালে দুই দেশের শান্তি চুক্তির পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে এটিই প্রথম কার্যকর প্রচেষ্টা। শুক্রবার দুই দেশের রাষ্ট্রদূত প্রথম দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ রয়েছে। ১৯১৫ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের সময় ১৫ লাখ আর্মেনীয় হত্যায় শত্রুতা সৃষ্টি হয় তুরস্কের সঙ্গে।

আর্মেনিয়ার দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৫ লাখ আর্মেনীয়কে হত্যা করে অটোম্যান তুরস্ক। তবে তুরস্কের দাবি, সংখ্যাটা অনেক বাড়িয়ে বলা হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকারও করেন তারা। একটি সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে হত্যাযজ্ঞ চালানো হলে তাকে গণহত্যা বলা হয়। তুরস্কের দাবি, সে সময় একটি নৃ- জনগোষ্ঠী হিসেবে আর্মেনিয়াকে টার্গেট করে গণহত্যা চালানো হয়নি। অটোমান সাম্র্যাজ্যের পতনের সময় বহু তুর্কি নাগরিকও হত্যাযজ্ঞের স্বীকার হয়েছেন বলে যুক্তি দেয় তারা। আর্মেনীয়রা ২৪শে এপ্রিল দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।