চীন, রাশিয়া ঠেকালো উ. কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা

উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে জাতিসংঘে আনা মার্কিন প্রস্তাব আটকে দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। কূটনীতিকরা বলছেন, পিয়ংইয়ং এর সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জবাবে উত্তর কোরিয়ার পাঁচ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তা বিলম্বিত করে দেয় বেইজিং ও মস্কো।

সম্প্রতি কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে পিয়ংইয়ং দাবি করেছে সেগুলো সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর জবাবে নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে দেশটির পাঁচ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব আনে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার মার্কিন ওই প্রস্তাবের ওপর ‘আপত্তি’ উপস্থাপন করে চীন ও রাশিয়া। এতে প্রস্তাবটির ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় পড়েছে। চীন নিরাপত্তা পরিষদে বলেছে নিষেধাজ্ঞাটি খতিয়ে দেখতে তাদের আরও সময় লাগবে আর রাশিয়া বলেছে, মার্কিন প্রস্তাবের সমর্থনে আরও বেশি প্রমাণ লাগবে।

জাতিসংঘের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এই আটকে থাকার সময় ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে। তারপরে আরও এক পরিষদ সদস্য এই সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়াতে পারে। ওই মেয়াদ শেষ হলে আলোচনার টেবিল থেকে প্রস্তাবটি স্থায়ীভাবে সরিয়ে ফেলা হবে।

উত্তর কোরিয়া এই বছর এখন পর্যন্ত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে দুইটি সুপারসনিক এবং দুইটি ট্যাক্টিক্যাল গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র। এর মধ্যে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ট্রেন থেকে ছোড়া সম্ভব বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের সাত সদস্য যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, আলবেনিয়া, ব্রাজিল, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্যের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার শাসকেরা দেখিয়েছে যে, তারা যেকোনও মূল্যে, তা নিজেদের জনগোষ্ঠীর মূল্যে হলেও ব্যাপক বিধ্বংসী এবং ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নিতে চায়।’

সূত্র: আল জাজিরা