বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা

‘দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ নয়, রাজাপাকসে পরিবার থেকে শ্রীলঙ্কাকে বাঁচাও’- এমন লেখা সম্বলিত বন্যার নিয়ে রাজপথে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নামেন দেশটির বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন রাজধানী কলম্বোতে। শিক্ষার্থী, আইনজীবী, অভিনেতাসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ সরকারবিরোধী আন্দোলন রাজপথে জড়ো হন। দিনে দিনে ক্ষমতাসীন লঙ্কান সরকারের ওপর বাড়ছে চাপ।

শনিবার কলম্বোর ওয়াটারফ্রন্টে আন্দোলনকারীরা প্রথমবার সরকারের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদে নামেন। আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে স্লোগান দেন। 

৭২ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের বিরুদ্ধে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বাদে মন্ত্রিসভার সবাই পদত্যাগ করেছেন। একই পথে হেটেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কার বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এর ফলে কলম্বো বাধ্য হয়েছে মুদ্রার মূল্য কমাতে এবং বৈশ্বিক ঋণদাতাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। হিমশিম খাচ্ছে জরুরি খাদ্য ও জ্বালানি আমদানিতে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, সপ্তাহান্তে জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রান্নার জ্বালানি গ্যাসের দাম এক হাজার ১৫০ রুপি থেকে বেড়ে চার হাজার ছাড়িয়েছে। শিশুখাদ্য গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। অর্থের অভাবে কাগজ ছাপা বন্ধের ফলে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।