জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করলে আইএমএফ তহবিল পাবে পাকিস্তান

পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৯০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল নিয়ে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত করার দিকে এগিয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে আইএমএফের শর্ত হলো, জ্বালানিতে দেওয়া ভর্তুকি পাকিস্তানকে প্রত্যাহার করতে হবে। কাতারে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা এক পাকিস্তানি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছে।

কাতারের রাজধানী দোহায় তহবিল কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে বুধবার। আইএমএফ-এর এক কর্মকর্তা বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তিনি পাকিস্তানের জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

দোহায় আলোচনা শেষ হওয়ার পর এক খুদে বার্তায় পাকিস্তানি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, আমরা যখন জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করবো তখন চুক্তি চূড়ান্ত হবে। চুক্তির আউটলাইন নিয়ে আমরা কাজ করেছি।

রয়টার্সের পক্ষ থেকে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে পাকিস্তানে নিযুক্ত আইএমএফ প্রতিনিধি কোনও সাড়া দেননি।

২০১৯ সালে আইএমএফ-এর সঙ্গে তিন বছর মেয়াদি ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে পাকিস্তান। কিন্তু এই তহবিলের প্রায় অর্ধেক এখনও দেশটি পায়নি।  

আইএমএফ-এর সফল পর্যালোচনা শেষে এই তহবিলের ৯০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় দেওয়া হতে পারে। সফল পর্যালোচনা নগদ সংকটে থাকা পাকিস্তানের জন্য তহবিল সংগ্রহের আরও কিছু সুযোগ তৈরি করবে। দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে দুই মাসের কম সময় আমদানি মূল্য পরিশোধ করা যাবে। তবে এই পর্যালোচনা কবে হবে তা অনিশ্চিত।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাপে থাকা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জ্বালানিতে ভর্তুকি ঘোষণা করেছিলেন। বুধবার আইএমএফ জানিয়েছে, ওই পদক্ষেপ ছিল ২০১৯ সালের চুক্তি থেকে সরে যাওয়া।

এপ্রিলে পাকিস্তানে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তারা জ্বালানির ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে চায়। সূত্র জানায়, অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসী যে তারা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে শিগগির জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে রাজি করাতে পারবেন।

জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহারে নতুন জোট সরকারকে রাজনৈতিক পরিণতির মুখে পড়তে হতে পারে। ১৬ মাস পর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।