উদ্ধার কাজে চ্যালেঞ্জের মুখে আফগান কর্মকর্তারা

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত দক্ষিণপশ্চিম আফগানিস্তানে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ব্যাপক সংখ্যক আহতদের সরিয়ে নিতে উদ্ধারকারী দলগুলোকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকতিকা প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে তারা সাধ্যমতো চেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, আহতদের অনেককেই পাকতিকা এবং খোস্ত প্রদেশের হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

পাকতিকার পাবলিক হেলথ ডিরেক্টর হেকমাতুল্লাহ বলেন, পাকতিকার বারমাল এবং জায়ান জেলার প্রায় সব গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।

হেকমাতুল্লাহ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি সব গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে আর কতজন আহত হয়েছে এবং কতজন মারা গেছে তা স্পষ্ট হতে পারিনি। এই জেলাগুলো খুব দুর্গম আর সেখানে সড়ক তৈরি হয়নি। কবলিত এলাকায় আমাদের টিম পৌঁছাতে তিন থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার নিশ্চিত করতে আমাদের হেলিকপ্টার প্রয়োজন’।

পাকতিকার বাসিন্দারা বলছেন, উঁচু-নীচু সড়কের কারণে উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্নিত হচ্ছে। পাকতিকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হারিয়েছি। অনেক সমস্যা। মানুষ গরিব। সড়ক ভাঙা। প্রত্যেক বাড়িতে তিন থেকে পাঁচ জন মারা গেছে’।

পাকতিকার আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘জায়ানের কোনও বাড়ি অক্ষত নেই, সব ধ্বংস হয়েছে’।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পাকতিকার জায়ান এবং বারমাল জেলাতেই এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এই ভূমিকম্পে আরও অন্তত দেড় হাজার মানুষ আহত হয়েছে।

খোস্তের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রধান সাবির আহমেদ ওসমানি বলেন, ‘আহতদের দ্রুত (খোস্তের) হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ইসলামিক আমিরাত কাবুল থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে প্রদেশে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে’।

সূত্র: টোলো নিউজ