নতুন করে এশিয়ায় করোনা ঢেউ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউ এশিয়া জুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন করে শুরু হওয়া এই সংক্রমণের জন্য বেশিরভাগই দায়ী বিএ.৪/৫ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। মহামারির অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় থাকা দেশগুলোতে নতুন সংক্রমণ চ্যালেঞ্জ বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষের।

সংক্রমণ ঠেকাতে নাগরিকদের ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে নিউ জিল্যান্ড ও জাপান। বৃহস্পতিবার নিউ জিল্যান্ড ফ্রি মাস্ক ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশটিতে কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগী বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

কোভিড-১৯ রেসপন্স বিষয়ক মন্ত্রী আয়েশা ভেরাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং হাসপাতালে ভর্তি বেড়ে যাওয়ার মিশ্রণ নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, সাম্প্রতিক স্মৃতিতে সবচেয়ে খারাপ ফ্লু মৌসুম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যকর্মীদের ও পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চরম চাপের মধ্যে ফেলেছে’।

জাপানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এমন মাত্রায় বেড়েছে যা এই বছরের শুরুর পর থেকে দেখা যায়নি। মানুষকে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সরকারের এক মুখপাত্র জানান গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ২.‌১৪ গুন।

মহামারির শুরুতে তা মোকাবিলায় সফলতার জন্য নিউ জিল্যান্ডের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াও প্রশংসিত হয়। তবে দেশটিতে এক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে তিন গুন। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা মধ্য আগস্ট নাগাদ দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া সতর্ক করে জানিয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটি সবচেয়ে বাজে সংক্রমণের মধ্যে পড়তে পারে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা লাখ লাখ নতুন রোগী পাওয়ার আশঙ্কা করছেন। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও কঠোর বিধিনিষেধের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে তারা।

থাইল্যান্ডে কমে আসলেও সংক্রমণ বাড়ছে ইন্দোনেশিয়ায়। মার্চের পর সেখানে সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফিলিপাইনে নতুন সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি কমেছে। তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, এই মাসের শেষ নাগাদ আক্রান্ত বাড়তে পারে ২০ গুন।

সূত্র: রয়টার্স