১৯ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ফের সহিংসতা

মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আবারও সহিংসতা শুরু করেছে দেশটির সামরিক সরকার। রাখাইন রাজ্যের মংডুতে পুলিশ ফাঁড়ি দখল এবং ১৯ পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের জেরে হামলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র আরাকান আর্মি (এএ)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ ফাঁড়ি দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। হত্যা করা হয়েছে ১৯ পুলিশ কর্মকর্তাকে। জবাবে সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা শুরু করেছে মিয়ানমার জান্তা।

এদিকে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় গোলা দুটি পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সতর্ক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, গত বুধবার ফাঁড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় আরকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা। সেখানে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করে। সেই সঙ্গে ১৯ জন জান্তা পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যমটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার নিয়ে হামলা চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। একজন বলেন, 'দুটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার সকালে হামলা চালিয়েছে সীমান্ত এলাকায়। আর বিকেলে দুইটি জঙ্গি বিমান ও দুইটি হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জান্তা সরকার জানায়, আরকান আর্মির দখলে যাওয়া ফাঁড়িটি পুনরুদ্ধারে সেনা সদস্য এবং কামানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা বলছে, বোমা হামলার ফলে তাদের ঘর-বাড়িতে কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে।

গত ২ আগস্ট থেকে সীমান্ত এলাকায় হামলা জোরদার শুরু করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান আর্মি। এরপর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে অঞ্চলটিতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত এলাকার অন্তত ৬টি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় (এএ)। জবাবে বিমান ও হেলকিপ্টার নিয়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ শেল নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। আতঙ্কে মংডু থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে।