বন্ধু রাষ্ট্রও মনে করে আমরা ত্রাণ ভিক্ষা চাইতে এসেছি: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির অর্থনৈতিক দুর্দশা ও হতাশার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও পাকিস্তানকে সব সময় অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রত্যাশাকারী দেশ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে। বুধবার আইনজীবীদের একটি সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এখবর জানিয়েছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, আজ যখন আমরা কোনও দেশে যাই বা ফোন করি, তারা মনে করে তাদের কাছে আমরা ত্রাণ ভিক্ষা চাইছি। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বন্যার আগেও দেশের অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল। বন্যায় এটি আরও জটিল হয়েছে।

তিনি বলেছেন, এপ্রিলে তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন পাকিস্তান অর্থনৈতিক দেউলিয়া হওয়ার কিনারায় ছিল। তার জোট সরকার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করেছে এবং কিছু মাত্রায় অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

মূল্যস্ফীতি চূড়ায় রয়েছে স্বীকার করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষভাবে পিটিআই সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইমরান খানের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চুক্তির বরখেলাপ করেছে। ফলে এখনকার সরকারকে কঠোর শর্ত মেনে নিতে হচ্ছে। শর্ত পূরণ না হলে কর্মসূচি প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে আইএমএফ।

শাহবাজ শরিফ বলেছেন, এমনকি ছোট অর্থনীতির দেশও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। আর আমরা গত ৭৫ বছর ধরে ভিক্ষার থালা নিয়ে ঘুরছি। এই অঞ্চলে অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল পাকিস্তানের চেয়ে কম। কিন্তু এখন রফতানির নিরিখে সেই দেশগুলো অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ৭৫ বছর পর পাকিস্তান কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? এটি একটি পীড়াদায়ক প্রশ্ন। আমরা সব সময় একটি চক্রে ঘুরছি। আমরা ‘এখন বা কখনোই না’ পরিস্থিতিতে রয়েছি। দেশের সম্ভাবনা আছে কিন্তু তা বাস্তবায়নের ইচ্ছার অভাব রয়েছে।

আসন্ন শীতে সম্ভাব্য গ্যাস সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।