তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প

এখনও তিন সন্তানের অপেক্ষায় বাবা

তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ হতে চললো। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে আছে অনেকের প্রিয়জন। কেউ জানে না তারা বেঁচে আছে কিনা।

তুরস্কের আনতাকিয়া শহরের বাসিন্দা হাসান গুন্তেকিনের শাশুড়ি, স্ত্রীসহ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে তার তিন সন্তান। এখনও আশায় আছেন, তারা বেঁচে আছেন ধ্বংসস্তূপে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার তিন সন্তানকে চাই। তাদের মধ্যে কোনও একজন বেঁচে থাকলেও আমি বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাবো। না হলে আমার বেঁচে থাকার কোনও মানেই থাকে না। আমি কী করবো কিছুই জানি না’।

সন্তানদের শোকে কাতর গুন্তেকিন আরও বলেন, ‘ আসছে ঈদে কে আমাকে বাবা বলে ডাকবে?’

ভূমিকম্প পরবর্তীতে দায়িত্ব পালনে এরদোয়ানের সরকার ব্যর্থ বলছেন আনতাকিয়ার এই বাসিন্দা। অভিযোগ করে বলেন, ‘ভূমিকম্পের ষষ্ঠ দিনে এসেও মাত্র দুটি করে দল উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। সরকারি কোনও কর্মকর্তাকে এখানে আসতে দেখিনি। অবশ্য এসব দেখার তাদের কোনও ইচ্ছেও নেই’।

ইতিহাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে, তা কারো জানা নেই। এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কে ভূমিকম্পে মারা গেছিল প্রায় ১৭ হাজার।

উল্লেখ্য, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কয়েক মিনিট পর আবারও একাধিক আফটার শক হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে। 

প্রথম কম্পনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দ্বিতীয় আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার ছিল খারমানমারাসের শহরের কাছে। সূত্র: আল জাজিরা