ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ: প্রাণহানি ৩৪ হাজার

সিরিয়া ও তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পার হয়েছে। অষ্টমদিনে এসেও ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ বের করে আনছে উদ্ধারকর্মীরা। প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজারে। এদিকে সিরিয়ায় প্রচণ্ড ঠান্ডার পাশাপাশি বিদ্রোহী অধুষ্যিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

রবিবার সিরিয়া ও তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪ হাজার ১৭৯ জনে। তুরস্কের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্র (এসকেওএম) জানিয়েছে, শুধু তুরস্কে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২৯ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে।

সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন সাড়ে চার হাজারের বেশি। এর মধ্যে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধুষ্যিত এলাকায় ৩ হাজার ১৬০ জন। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে করণীয় নিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। রাজধানী দামেস্কে দুই জনের বৈঠক হয়। প্রথম কোনও দেশ হিসেবে সিরিয়ায় সহায়তা পাঠানোয় জায়েদকে ধন্যবাদ  জানান প্রেসিডেন্ট আসাদ।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্রোহী অধুষ্যিত এলাকায় নানা বাধা রয়েছে। উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আসাদ সরকারের সহায়তা চেয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও তুরস্কের বিধ্বস্ত অঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার আফটারশক আঘাত হেনেছে। বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ  ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ধসে গেছে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি। বাস্তচ্যুত লাখ লাখ মানুষ।