ওয়াশিংটন ও সিউলের মহড়া শুরু, ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং

পাঁচ বছরের যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পূর্বে একটি সাবমেরিন থেকে দুটি কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই অস্ত্র পরীক্ষার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দেখিয়ে দিচ্ছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের পুতুল সরকারের তথাকথিত সামরিক মহড়ার শক্তিশালী বাহিনীকে মোকাবিলায় পিয়ংইয়ংয়ের সক্ষমতা রয়েছে।

কেসিএনএ ইঙ্গিত দিয়েছে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে পারমাণবিক ওয়ারহেডে সজ্জিত করার লক্ষ্য রয়েছে উত্তর কোরিয়ার।

মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াকে আক্রমণের অনুশীলন হিসেবে বিবেচনা করে পিয়ংইয়ং। দেশটির দাবি, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়।

সোমবার শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ফ্রিডম শিল্ড’ বা মুক্তির ঢাল অনুশীলন। ২০১৮ সালের পর এটিই দুই দেশের বৃহত্তম সামরিক মহড়া।

২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া এবং ক্রমশ আগ্রাসী পারমাণবিকনীতি গ্রহণ করছে।

সিউলের ইডব্লিউএইচএ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লিফ-এরিক এসলে বলেন, সাবমেরিন থেকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি হুমকি। মিত্রদের এটি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরীয় নেতা কিম চেষ্টা করছেন পিয়ংইয়ংকে একটি বৈধ পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ এবং দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শিথিল করতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পীত সাগরে স্বল্প পাল্লার অন্তত ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। দুই কোরিয়ার মাঝে অবস্থিত অসামরিক জোনে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং।