তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলতে তৃতীয় দিনের মহড়ায় চীন

তাইওয়ানকে ঘিরে তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে চীনের সামরিক মহড়া। যুদ্ধবিমান ও জাহাজ থেকে তাজা গুলি ছুড়ছে বলে দাবি তাইপের। সোমবার (১০ এপ্রিল) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ান ভূখণ্ডের আশপাশে ৭০টি সামরিক বিমান ও ১১ জাহাজ শনাক্ত করেছে তারা।

গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মার্কিন স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর প্রতিবাদে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির চারপাশে তিনদিনব্যাপী সামরিক মহড়ায় নেমেছে চীনা সরকার। তৃতীয় দিনেও যুদ্ধবিমান ও জাহাজ নিয়ে মহড়া শুরু করেছে দেশটি।

মহড়ায় চীনের যুদ্ধজাহাজ। ছবি: রয়টার্স

এ পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। বিমান ও নৌবাহিনী এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চীনের শনাক্ত হওয়া যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ৩০টি তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অনুপ্রবেশ করে।

এদিকে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এই সামরিক মহড়া তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে টহল ও অগ্রগতির চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। এমনকি ঘেরাও এবং প্রতিরোধের ভঙ্গি তৈরি করবে। পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পূর্ব থিয়েটার কমান্ড শনিবার সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে জানায়, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ‘যুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক মহড়া’ চলবে।

সোমবারের মহড়ায় চীনের ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে গোলাবর্ষণের অনুশীলনের কথা রয়েছে। যা তাইওয়ানের মাতসু দ্বীপের দক্ষিণে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে গত সপ্তাহে সাইয়ের বৈঠক হয়। যা ভালোভাবে নেয়নি বেইজিং। দেশটি আগেই জানিয়েছিল, মার্কিন স্পিকারের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলে ফলাফল ভালো হবে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার কয়েক ঘণ্টা পরই তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করে চীনা সামরিক বাহিনী।

অবশ্য, রবিবার তাইওয়ানের মিত্র মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরও মহড়ার বিষয়টি গভীরভাবে নজরে রেখেছে বলে জানা গেছে। সাইয়ের সফরকে কেন্দ্র করে বেইজিংকে অতি প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয় বলে জানায় বাইডেন প্রশাসন। সূত্র: আল জাজিরা