তাইওয়ান প্রসঙ্গে চীনে প্রশংসিত হচ্ছেন ম্যাক্রোঁ

তাইওয়ান প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক মন্তব্যের কারণে চীনে বহুল প্রশংসিত হয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার মন্তব্যকে ‘চমৎকার সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম। বেইজিংয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তাইওয়ান নিয়ে সংকটের তীব্রতা বাড়াতে আগ্রহ নেই ইউরোপের। ব্লকটির উচিত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নীতির বাইরে গিয়ে তাইওয়ান ইস্যুতে স্বাধীন অবস্থান গ্রহণ করা।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ এ সোমবার (১০ এপ্রিল) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মন্তব্যগুলো অবশ্যই তাইওয়ান ইস্যুতে ম্যাক্রোঁর দীর্ঘমেয়াদী পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। এবং তার মন্তব্য অপেক্ষাকৃত বস্তুনিষ্ঠ, যুক্তিসঙ্গত এবং ইউরোপের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’

সম্প্রতি তিন দিনের চীন সফর শেষে ফ্রান্স ফিরেছেন ম্যাক্রোঁ। সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান তিনি। ফিরে গিয়ে করেন এসব মন্তব্য।

তার মন্তব্য নিয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র ‘চীনা ডেইলি’র ব্রাসেলস ব্যুরো প্রধান চেন উইহুয়া টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্নায়ুযুদ্ধ প্রতিরোধে ম্যাক্রোঁর মন্তব্য চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রমাণিত হবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘ইউরোপের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন ম্যাক্রোঁ।’

এদিকে এমন মন্তব্যের জেরে ইউরোপের দেশগুলোতে তোপের মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়াকে হালকাভাবে দেখার অভিযোগ করছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক নেতারা।

সম্প্রতি তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তাইওয়ানি নেতা সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকে ক্ষুব্ধ হয়ে এই মহড়া শুরু করে বেইজিং।

গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। দ্বীপ রাষ্ট্রটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে শক্তি প্রয়োগের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। চীনের এই দাবির কঠোর বিরোধিতা করে আসছে তাইওয়ানের সরকার।

সূত্র:এএফপি, রয়টার্স