মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড রাখাইন, মৃত্যু ২৯

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখায় বড় ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে গেছে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে। ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ঘর-বাড়ি, সড়ক ও বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। সোমবার (১৬ মে) এ খবর জানিয়েছে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও রেখে গেছে ধ্বংসযজ্ঞ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাখাইনের সিত্তওয়েতে। রবিবার মোখা আঘাতের সময় ঘণ্টায় বাতাসের বেগ ছিল ১৯৫ কিলোমিটার। গত এক দশকে এমন শক্তিশালী ঝড় আঘাত হানেনি বলে প্রতিবেদনে এসেছে।

মোখার কারণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ বিষয়ে তথ্য লুকোচুরি করছে মিয়ানমার সামরিক সরকার। দেশটির মিডিয়ার ওপরও ব্যাপক বিধিনিষেধ রয়েছে এসব খবর প্রকাশে।

এ নিয়ে এএফপির সঙ্গে আলাপ হয়েছে দেশটির রোহিঙ্গা শিবিরের এক নেতার। জান্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থাটিকে তিনি বলেন, সিত্তওয়ের উত্তর-পশ্চিম খাউং ডোকের কার গ্রামে মোখের তাণ্ডবে অন্তত ২৪ জন মারা গেছেন।

এর আগে সামরিক সরকার বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৫ জন মৃত্যু হয়েছে। আহতও হয়েছেন কয়েকজন।

রাখাইনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ছবি: ইরাবতী

নিচু এলাকার রোহিঙ্গা গ্রাম ও আইডিপি ক্যাম্পে আরও কয়েকজন নিখোঁজ আছে বলেও এএফপিকে জানান তিনি। এএফপির ধারণকৃত ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তোড়ে নৌকাগুলো ভেঙে তীরে জমা হয়েছে।

স্থানীয় স্লাইকোন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সিত্তওয়েতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৮০০ ঘর ও ১৪টি হাসপাতাল বা ক্লিনিক ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেনি। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নষ্ট হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত রাখাইনের শহরটির সঙ্গে অন্যান্য জায়গার যোগযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিল। শহরটিতে কমপক্ষে দেড় লক্ষাধিক লোকের বসবাস।