উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বৈঠক নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ ও খেদ’ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউল ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক অস্ত্র ও মহাকাশ প্রযুক্তি নিবে উত্তর কোরিয়া। যা আরও ধ্বংসাত্মক করে তুলবে কিমকে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
দুই নেতার আলোচনা অনুসারে সামরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের পথে হাঁটছেন তারা। বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ও পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় যেকোনও সংঘর্ষের জন্যও প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। বুধবার ওয়াশিংটন সতর্ক করে বলেছে, কিম ও পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য গোলাবারুদ সরবরাহের একটি চুক্তি করতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিম সু-সুক বলেন, গভীর উদ্বেগ ও খেদ প্রকাশ করছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার সতর্ক করার পরও উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া স্যাটেলাইট উন্নয়নসহ সামরিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
লিম আরও বলেন, কিমের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। যারা অবৈধ অস্ত্র উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে কোরিয়ান পিপলস আর্মি মার্শাল রি পিয়ং চোল ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মকর্তা জো চুন ইয়ং।
লিম বলেন, মস্কোর উপলব্ধি করা উচিত পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ালে সিউলের ওপর ‘খুবই নেতিবাচক প্রভাব’ পড়বে।
সিউলের একীকরণ মন্ত্রী কিম ইউং-হো সতর্ক করে বলেছেন, পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে অস্ত্র সহযোগিতা হলে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান প্রতিক্রিয়া জানাবে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করা হবে।
বুধবার হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া যদি রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাহলে দেশটিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।