পুতিনের লিমুজিনে উঠলেন কিম

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে বুধবার শীর্ষ বৈঠকের আগে নিজের লিমুজিনে উঠার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার কোম্পানি দ্বারা নির্মিত গাড়ির পেছনের প্রশস্ত সিটে বসেন কিম। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার রশিয়ার মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র  ভোস্টোচনি কসমোড্রোম ঘুরে দেখেন পুতিন ও কিম। অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সময় মূল ভবনে হেঁটে যাওয়ার সময় পুতিনের অরাস লিমুজিনের কাছাকাছি আসেন। এ সময় কিম কৌতূহলী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন পুতিন তাকে গাড়ি ইঙ্গিত করে পেছনের সিটে বসার আমন্ত্রণ জানান। গাড়ির অন্যপাশ দিয়ে কিমের পাশে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিম বিস্মিত হয়ে বসেছিলেন।

পুতিনের লিমুজিন

অরাস সিনেট লিমুজিনটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গাড়ি নির্মাতার তৈরি। কোম্পানিটি এনএএমআই আদ্যক্ষরে পরিচিত। ২০১৮ সালে চতুর্থ অভিষেকের সময় প্রথমবারের মতো অরাস গাড়িটি ব্যবহার করেন পুতিন। পুরনো মার্সিডিজ বাদ দিয়ে রুশ গাড়ি নেওয়াকে দেশাত্ববোধের বার্তা হিসেবে  দেখা হয়ে থাকে। 

বুধবার কিম তার ব্যক্তিগত মেব্যাক লিমুজিনে করে মহাকাশ কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন। তাকে একজন গাড়িপ্রেমী হিসেবে মনে করা হয়। তার সংগ্রহে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লেক্সাস স্পোর্টস কার ও রোলস-রয়েস ফ্যান্টম। 

বিলাসবহুল পণ্য হওয়ায় জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়াতে এগুলোর রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। ধারণা করা হয় কিমের গাড়িগুলো অবৈধভাবে পাচার হয়েছে দেশটিতে।

মেবাচ গাড়ির জার্মান নির্মাতা ডাইমলার বলেছে, তাদের তৈরি গাড়ি কীভাবে উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছে এই বিষয়ে তাদের কোনও ধারণা নেই। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক কোনও আদানপ্রদান নেই।

উত্তর কোরিয়ার একটি দুর্বল গাড়ি শিল্প রয়েছে। উত্তর কোরীয় কোম্পানিগুলো সেডান ও যাত্রীবাহী বাস তৈরি করে।  

২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের বিরতিতে সময় ‘দ্য বিস্ট’ নামে পরিচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের লিমুজিনে উঁকি দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। ওই সময় গাড়ির ভেতরে উঠতে পাননি।