ভারতে বহুবিবাহ নিষিদ্ধে বিভক্ত মুসলিম নারীরা

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ করে নতুন আইন হয়েছে। এতে অনেক নারী যেমন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন তেমনি অনেকেই আইনটির বিপক্ষে নিয়েছেন অবস্থান। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সুপ্রিম কোর্টে আইনটির পক্ষে কয়েক বছর ধরেই মামলা লড়ছেন উত্তরাখণ্ডের মানবাধিকার কর্মী শায়রা বানু।  

তবে বহুবিবাহ ও তাৎক্ষণিক বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধ করা এই আইন নিয়ে সন্তুষ্ট নন ভারতীয় কংগ্রেসের এক সদস্য সাদাফ জাফর। তিনি বলেন,ইসলামে বহুবিবাহ অনুমোদিত হলেও এ ব্যাপারে কঠোর নিয়ম রয়েছে। যদিও তার মতে, বহুবিবাহের সুযোগের অপব্যবহার হচ্ছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি অঙ্গীকার করেছিল,তারা ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু করবে। আইনটি কার্যকর হলে বিবাহ,বিবাহবিচ্ছেদ ও উত্তরাধিকারের মতো বিষয়গুলো আর সংশ্লিষ্টদের ধর্মীয় আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে না। তা চলে আসবে এমন এক অভিন্ন আইনের আওতায়—যা সকল নাগরিকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

আইনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। তবে সাদাফ জাফরের মতো অনেক নারী, মুসলিম রাজনীতিবিদ ও ইসলামিক পণ্ডিতদের মতে,মুসলিমদের দমিয়ে রাখতেই এই আইনটি করেছে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি। তাদের মতে,ইসলামে হস্তক্ষেপকারী আইনটির প্রয়োগ মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ আরও বাড়াবে।

তারা আরও বলেন,ইসলামে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট বিধান রয়েছে। আর কোনো আইনের প্রয়োজন নেই।

ভারতে প্রায় ২০ কোটি মুসলিমের বসবাস। সে হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ এটি। ধর্মনিরপেক্ষ আইনটি চালু হলে বিরোধিতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাকের বিবাহবিচ্ছেদকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছিলেন।