ইন্দোনেশিয়ায় তদন্তের মুখে বিমানে ঘুমিয়ে পড়া দুই পাইলট

ইন্দোনেশিয়ার বাটিক এয়ারের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়ার অভিযোগে দুই পাইলটকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব সুলাওয়েসি রাজ্যের কেন্দারি থেকে রাজধানী জাকার্তা যাওয়ার সময় বিমানে ঘুমিয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে দুই পাইলটের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড্ডয়নের আধা ঘণ্টা পর, বিশ্রামের কথা বলে কো-পাইলটকে বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে বলে পাইলট-ইন-কম্যান্ড। রাজি হন কো-পাইলট। সেই সময় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েন পাইলট ইন কমান্ড। একটা সময় হঠাৎ জেগে যান তিনি। দেখেন, তার কো-পাইলটও ঘুমিয়ে পড়েছেন।

ততক্ষণে খানিক বিপথে গিয়েছে বিমান। দ্রুত ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কথা বলে নিজস্ব রুটে ফেরেন তারা। অবশ্য এ ঘটনায় ফ্লাইটের চার ক্রু ও ১৫৩ যাত্রীর কেউই আহত হননি। উড়োজাহাজেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। বাটিক এয়ারের ফ্লাইট বিটিকে৬৭২৩ প্রায় দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট উড়াল শেষে সফলভাবেই জাকার্তায় অবতরণ করে।

বাটিক এয়ারের সাথে সর্বশেষ যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। দেখা যায়, মাঝ-আকাশে বিমানটি যখন উড়ছিল, তখন তারা প্রায় ২৮ মিনিট ঘুমিয়ে ছিলেন।

পাইলটদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে দুজনই ইন্দোনেশিয়ান। ক্যাপ্টেনের বয়স ৩২ আর ফাস্ট অফিসারের ২৮। কো-পাইলটের দুটি জমজ শিশু আছে এবং তাদের যত্ন নিতে রাতে তাকে বেশ কয়েকবার ঘুম থেকে উঠতে হয়। 

ফ্লাইটের আগে ডাক্তারি পরীক্ষায় মনে করা হয়েছিল যে দুজনেই উড়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত। তাদের রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক ছিল। অ্যালকোহল পরীক্ষাও নেতিবাচক ছিল।

তবে বিমান বিশেষজ্ঞ আলভিন লাই বলেন, পরীক্ষাগুলি তাদের বিশ্রামের বিষয়টি নির্ধারণ করতে ব্যর্থ।

বাটিক এয়ারকে কঠোরভাবে তিরস্কার করে ফ্লাইট বিটিকে ৬৭২৩ এর সব ক্রুর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক কর্মবিরতি দেয়া হয়েছে।