টনকিন উপসাগরে চীনের সীমারেখা, যা বলছে ভিয়েতনাম

আন্তর্জাতিক আইন এবং অন্যান্য দেশের অধিকার ও স্বার্থকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) টনকিন উপসাগরে চীনের সীমারেখা আঁকা সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে সরলরেখা ব্যবহার করে টনকিন উপসাগরে সীমারেখা তৈরি করেছে চীনা সরকার। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এই রেখা এঁকেছে দেশটি। টনকিন উপসাগ চীনা ভাষায় বেইবু উপসাগর নামে পরিচিত।

আঞ্চলিক জল এবং একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইজেড) সীমা নির্ধারণ করতে সীমারেখা ব্যবহার করা হয়। তবে দক্ষিণ চীন সাগরে এই সীমারেখা একটি সংবেদনশীল বিষয়। কেননা, এই অঞ্চল ঘিরে চীন, ভিয়েতনাম এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলোর কিছু বিরোধপূর্ণ দাবি রয়েছে।

একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় ভিয়েতনামের মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি (ইউএনসিএলওএস) এর উল্লেখ করে বলেন ‘ভিয়েতনাম মনে করে, উপকূলীয় দেশগুলো তাদের আঞ্চলিক জলসীমা পরিমাপের জন্য ইউএনসিএলওএস ১৯৮২ মেনে ভিত্তিরেখা নির্ধারণ করে।’

বৃহত্তর দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশী দুই দেশে চীন ও ভিয়েতনামের বিরোধপূর্ণ দাবি রয়েছে। তবে টনকিন উপসাগরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে তারা। গত ডিসেম্বরে হ্যানয় সফরের সময় সেখানে যৌথ টহল পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।