জাপানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি শান্তিচুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করবে: রাশিয়া

জাপানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার যেকোনও শান্তি চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করবে। সোমবার ( এপ্রিল) সাংবাদিকদের এমন কথাই বলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ চলতি সপ্তাহে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে

চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। বৈঠকটি নয় বছরের মধ্যে কোনও জাপানি নেতার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।

উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বৈঠকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে সহযোগিতা এবং জাপানে মার্কিন সামরিক কমান্ড কাঠামোর সম্ভাব্য উন্নতি নিয়ে আলোচনা করবেন এই দুই নেতা।

সাংবাদিকদের পেসকভ বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই ডি ফ্যাক্টো প্রতিরক্ষা জোট আছে এবং জাপানে অবস্থানরত মার্কিন সামরিক সম্ভাবনা সম্পর্কে আমরা জানি। সেটি আমাদের সীমান্তেরই কাছাকাছি।’

জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে পেসকভ আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা, শান্তি চুক্তি বিষয়ক। এর সমাধানে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি সবসময় একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান উত্তরসূরি রাষ্ট্র রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি জাপান।

তাই একটি বিতর্কিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ শৃঙ্খল নিয়ে জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে একটি আঞ্চলিক বিরোধ রয়ে গেছে। বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলটি রাশিয়ায় কুরিল নামে এবং জাপানে নর্দান টেরিটরি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।

সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ জানুয়ারিতে বলেছিলেন, জাপান যদি একটি শান্তি চুক্তি করতে চায় তবে দেশটিকে এই দ্বীপগুলোর আঞ্চলিক দাবি প্রত্যাহার করতে হবে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া সর্বাত্মক আক্রমণ চালানে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাপান। ফলে দেশটির সঙ্গে যে কোনও প্রকার শান্তি চুক্তি আলোচনা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে রাশিয়া। একই বছর দ্বীপগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোও স্থগিত করে দেশটি। এরপর থেকে উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বেড়ে যায়।