আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া

অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন ও ইন্দোনেশিয়া। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া এবং চীন একে অপরের বৃহত্তম ব্যবসায়িক এবং বিনিয়োগ অংশীদার। রেতনো মারসুদি বলেছেন, অবকাঠামো, ডাউনস্ট্রিমিং, টেকসই খাদ্য এবং ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি পরিবর্তনে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাইছে দেশ দুটি।

এসময় চীনা বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় গত বছর ৭৪০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে চীন।

বৈঠক শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বানও জানান ওয়াং। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ওয়াং বলছিলেন, ‘উভয় মন্ত্রীই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবটি সম্পূর্ণরূপে এবং বিনা শরর্তে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে আমরা একমত।’

এসময় দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেন, গাজায় ‘সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধে’ চীন তার প্রভাব ব্যবহার করবে বলে আশা করছেন তিনি।

লাবুয়ান বাজোতে ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ্য মন্ত্রীর সঙ্গে শুক্রবার আরও একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে ওয়াংয়ের। চীন-ইন্দোনেশিয়া উচ্চ-স্তরের সংলাপ সহযোগিতা ব্যবস্থা নামের এই বৈঠকে সহযোগিতা নিয়ে আরও বিশদভাবে আলোচনা করবেন তারা।