মালয়েশিয়ায় ৬ বাংলাদেশি যৌনকর্মী গ্রফতার

মালয়েশিয়ায় ১০ যৌনকর্মীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। গ্রেফতাকৃত যৌনকর্মীদের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশি ও ৪ জন নেপালি নারী রয়েছেন। শনিবার মধ্যরাতে দেশটির জালান সুলতান আহমদ শাহ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
জর্জ টাউনের সহকারী কমিশনার মিওর ফরিদালাত্রাশ ওয়াহিদ জানান, গ্রেফতারকৃত নারীদের বয়স ২৩ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। একই অভিযানে এই চক্রের ম্যানেজার ৩৮ বছর বয়সী আরেক বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
কমিশনার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি ম্যানেজারের স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি রয়েছে। তদন্তে সহযোগিতার জন্য আরও সাত বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশেরই মালয়েশিয়ায় বসবাসের বৈধ কাগজপত্র নেই।
কমিশনার জানান, এটা দ্বিতীয় অভিযান। এর আগেও আরেকটি অভিযান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স স্থানীয় এক ব্যক্তির। পুলিশ স্থানীয় পেনাং আইল্যান্ড সিটি কাউন্সিলকে এ লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়ে অবহিত করেছে।
পুলিশ জানায়, মালিকের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন না মানার অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে।

এদিকে, শুক্রবার পৃথক এক অভিযানে ১৯ বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫ নারী রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ইন্দোনেশীয় ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন।

এর আগে ৯ মার্চ মালয়েশিয়ায় ম্যাসাজ পার্লারগুলোতে অভিযান চালিয়ে এক বাংলাদেশিসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  জহর বাহরু ও গেলাং পাতাহ শহরে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।  অন্য এক অভিযানে ছয় অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন থাইল্যান্ডের, পাঁচজন ভিয়েতনামের এবং তিনজন ইন্দোনেশিয়ার নারী রয়েছেন। এদের প্রত্যেকের বয়স ২১ থেকে ৪৮ বছরের মধ্যে। এছাড়া একজন বাংলাদেশি পুরুষ ক্লায়েন্টকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মালয়েশিয়ায় অবস্থানের বৈধ কোনও কাগজপত্র নেই।

উল্লেখ্য, তিন সপ্তাহ আগে চুক্তি করেও বাংলাদেশি শ্রমিক না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। শনিবার (১২ মার্চ) দেশটির মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আহমাদ জাহিদ হামিদি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। যদিও এ বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে এসে ১৫ লাখ কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছিলেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম। দেশটির এ সিদ্ধান্তের ফলে আটকে গেল বাংলাদেশের প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার চুক্তির ভবিষ্যত।