দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনকে ঘুষের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রসিকিউটররা জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের একটি এয়ারলাইনে জামাতার নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট এক মামলায় তিনিই দেশের সর্বশেষ সাবেক নেতা যিনি আইনি ঝামেলায় পড়লেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জিওনজু জেলা প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, ৭২ বছর বয়সী মুনকে ঘুষের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। একই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য লি সাং-জিককে ঘুষ এবং আস্থাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এয়ারলাইনে জামাতার চাকরি নিশ্চিত করতে সহায়তার বিনিময়ে ২১৭ মিলিয়ন ওন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) গ্রহণের ঘটনায় মুনকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
এই মামলার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে। নাটকের মাত্রা আরও বাড়াল, যেখানে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের মার্শাল ল’ জারি করায় পদচ্যুত হওয়ার পর ৩ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রসিকিউটররা বলেন, মুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার ক্ষেত্রে তারা আগের সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হে ও লি মিউং-বাকের ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলার উদাহরণ ব্যবহার করেছেন। তারা দুজনেই দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন।
মুন, লি কিংবা তাদের আইনি প্রতিনিধিদের তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি।
মুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সংসদ সদস্য ইয়ুন কুন-ইয়ং ফেসবুকে এক পোস্টে প্রসিকিউশনকে ‘হাস্যকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগের’ মাধ্যমে মুনকে ফাঁসানোর এবং সঠিকভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ তোলেন।
উদারপন্থি মুন, যিনি একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
গত দুই দশকে দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক নেতা তাঁদের মেয়াদের শেষদিকে কিংবা পদত্যাগের পরে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন বা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন।
মুনের উত্তরসূরি, ইউন সুক-ইয়ল, এই মাসে সাময়িকভাবে মার্শাল ল জারির চেষ্টা করার কারণে অভিশংসিত হয়ে পদচ্যুত হন। এই রক্ষণশীল সাবেক নেতা এখন ফৌজদারি অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি।