আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে উদ্বিগ্ন ভারত

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ব্রিফিংয়ের বিবরণীতে এসব কথা জানা গেছে।

এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, যখন ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করছিল তখন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন,  যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিকভাবেই গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা হ্রাস এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা যত দ্রুত সম্ভব অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানাই। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার থাকা উচিত। আমরা আশা করি বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং সব পক্ষের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে সোমবার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীন জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ (এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন) কর্তৃক যে কোনও ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে।