মিয়ানমারে ইন্দোনেশিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে ৭ বছরের কারাদণ্ড

মিয়ানমারে এক ইন্দোনেশিয়ান সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) জাকার্তায় এক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জান্তা-শাসিত অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেখা করার অভিযোগে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

৩৩ বছর বয়সী ওই ইন্দোনেশিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে গত ডিসেম্বরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করে। কর্মকর্তারা তাকে এ.পি. নামের আদ্যক্ষরে শনাক্ত করেছেন।  

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক জুধা নুগ্রাহা বলেন, আদালতের প্রক্রিয়া শেষে এ.পি.-কে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ওই ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে ‘অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশ করে একটি অস্ত্রধারী গোষ্ঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে মিয়ানমার সরকার।

মিয়ানমারের একটি আদালত তাকে সন্ত্রাসবাদ, অভিবাসন আইন এবং অবৈধ সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। কারণ জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে এক কঠিন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ওই ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত ইনসেইন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাকার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার একটি অনুরোধ বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, যে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি আটক ইনফ্লুয়েন্সারের বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে দেখা গেছে তিনি বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যেমন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ও আফগানিস্তান। আবার কখনও বিলাসবহুলভাবে বালি ও প্যারিসে ছুটি কাটাচ্ছেন।

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ইনস্টাগ্রামে করা কয়েকটি পোস্টে তাকে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে এবং জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেখা যায়।

তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে বিদ্রোহী ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তিদের সঙ্গে পোজ দিয়েছেন, যাদের কেউ কেউ অস্ত্রধারীও ছিল।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বহু-মুখী গৃহযুদ্ধ চলছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।