চীনের সেই স্বর্ণ খনিতে ৯ শ্রমিকের মরদেহের সন্ধান

চীনের একটি স্বর্ণের খনিতে বিস্ফোরণের দুই সপ্তাহের মাথায় নয় শ্রমিককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর এক দিন আগে ১৩ দিন আটকে থাকার পর ওই খনি থেকে ১১ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক শ্রমিক। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১০ জানুয়ারি চীনের শানডং প্রদেশের হুশানে এক সোনার খনিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ঝাওজিন নামের ওই খনিটির মালিক শানডং উকাইলং ইনভেস্টমেন্ট। এটি চীনের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার খনি। বিস্ফোরণের ফলে পাতালেই আটকে পড়েন খনিতে কাজ করা ২২ শ্রমিক। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে উদ্ধারকারী দল একটি সরু সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে ওষুধ এবং খাবার সরবরাহ করে। এক স্থানে আটকে পড়া ওই শ্রমিকদের রবিবার জীবিত অবস্থায় বের করে আনতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারীরা।

সোমবার ইয়ানতাই শহরের মেয়র জানিয়েছেন, খনিতে আটকে পড়া বাকি নয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি’কে তিনি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে এসব মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চীনে প্রায়ই খনি দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। সরকারি বিধি-নিষেধ অগ্রাহ্য করে খনির কাজকর্ম পরিচালিত হওয়ার ফলে প্রতি বছরই বহু শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চোংকিং শহরে একটি খনিতে আটকা পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ডায়াসুইডং কয়লা খনিতেও দুর্ঘটনায় ২৪ জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। পরে কয়েকজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বেশিরভাগ শ্রমিক কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান। গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি কয়লা খনিতে কার্বন মনোঅক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ১৬ শ্রমিক প্রাণ হারান।