তিব্বতে প্রথম বুলেট ট্রেন চালু করলো চীন

হিমালয়ের পার্বত্য তিব্বত অঞ্চলে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত বুলেট ট্রেন চালু করেছে চীন। এর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে প্রাদেশিক রাজধানী লাসা এবং ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী তিব্বতের শহর নাইংচি। আগামী ১ জুলাই চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপন সামনে রেখে শুক্রবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করা হয়েছে ৪৩৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি। এটি সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ের একটি অংশ হবে। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সিনহুয়া বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে শুক্রবার প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মালভূমি অঞ্চলে ‘ফুক্সিং’ বুলেট ট্রেন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো।

তিব্বত অঞ্চলে কিনহাং-তিব্বত রেলওয়ের পর দ্বিতীয় রেললাইন হলো সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে। এটি দক্ষিণ-পূর্বের কিনহাং-তিব্বত মালভূমির অভ্যন্তর দিয়ে যাবে। এই অঞ্চলটি পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল।

গত নভেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্মকর্তাদের সিচুয়ান প্রদেশ এবং তিব্বতের নাইংচিকে সংযুক্ত করতে নতুন রেলওয়ে প্রজেক্ট চালু করতে নির্দেশনা দেন। তখন তিনি বলেন, নতুন এই রেললাইন সীমান্তের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংদু থেকে শুরু হয়ে কামদো দিয়ে তিব্বতে প্রবেশ করেছে। এর মাধ্যমে চেংদু থেকে লাসার দূরত্ব ৪৮ ঘণ্টা থেকে নেমে ১৩ ঘণ্টায় চলে এসেছে।

তিব্বতের নাইংচি শহরটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী।

দক্ষিণ তিব্বতের সীমানা হিসেবে অরুণাচল প্রদেশের দাবি করে থাকে চীন। তবে এই দাবি অস্বীকার করে থাকে ভারত। ভারত-চীনের মধ্যে প্রায় তিন হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার বিরোধপূর্ণ সীমান্ত রয়েছে।

তাসিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল স্ট্রাটেজি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং বলেন, ‘চীন-ভারত সীমান্তে যদি কখনও সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে এই রেলওয়ে চীনের কৌশলগত সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’