তাইওয়ান প্রণালী এলাকায় ৬৬ চীনা যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালী এবং সংলগ্ন এলাকায় ৬৬টি চীনা যুদ্ধবিমান এবং ১৪টি যুদ্ধজাহাজের তৎপরতা দেখা গেছে। রবিবার এমন অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তাইওয়ানকে ঘিরে চার দিন ধরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বেইজিং। এটি শেষ না হতেই রবিবার কোরীয় উপদ্বীপের কাছে ইয়েলো সি বা পীত সাগর এবং লাগোয়া বোহাই সাগরে নতুন মহড়ার দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এসব মহড়ায় তাজা গুলি ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছে তারা।

চীনের নৌ চলাচল নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ঘোষণা করেছে, পীত সাগরে মহড়া চলবে আগস্টের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। অন্যদিকে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে বোহাই‌ সাগরে আগস্টের ৮ তারিখ থেকে মাসব্যাপী মহড়া চলবে।

তাইওয়ান ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়ার চীনা সামরিক মহড়া রবিবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

তাইওয়ানের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে, তাদের বিমান ও জাহাজ চলাচলের রুট খুলে দেওয়া হবে। তবে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিমানগুলোকে চীনা মহড়ার কাছাকাছি এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হবে।

চীনা সামরিক বাহিনীর কার্যকলাপের একজন বিশ্লেষককে উদ্ধৃত করে চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়াতে বলা হয়েছে, বেইজিং এখন থেকে তাইওয়ানের কাছে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালাবে। তাইওয়ান বলছে গত চার দিন ধরে চীন যেভাবে মহড়া চালিয়েছে তা আসলে তাইওয়ান দখলেরই মহড়া।

তাইওয়ানের চারদিকে চীনের সামরিক মহড়ার তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনে গভীর সাগরে চীন ও তাইওয়ানের যুদ্ধজাহাজগুলো খুব কাছ থেকে একে অপরকে অনুসরণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাইওয়ানের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীতে দুই দেশের ১০টি করে যুদ্ধজাহাজ কাছাকাছি চলে আসে। তবে পক্ষই সাবধানতা অবলম্বন করছে। এক পক্ষ মধ্যরেখা অতিক্রমের চেষ্টা করলে অন্য পক্ষ সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বাধা তৈরি করছে। তাইওয়ান বলেছে, তাদের জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান বিধ্বংসী প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে চীনের বিরুদ্ধে উসকানি ও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপের অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন তাইওয়ানে হামলার মহড়া চালিয়েছে বলে তাইপে দাবি করার পর এমন অভিযোগ করলো ওয়াশিংটন। তাইওয়ান ও চীনের মধ্যকার এই উত্তেজনা বেড়েছে তাইপেতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর। চীন তার এই সফরকে তাইওয়ানের ওপর নিজেদের সার্বভৌম অধিকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে।