ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি নিহতের সংখ্যা ১২০ বলে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিহতের সংখ্যা এটাই চূড়ান্ত নয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবক ও জনপ্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যারা মধ্যরাতে খালি হাতে আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ শুরু করেছিলেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ৬.২ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল রোমের উত্তর-পূর্বের রেইতি নামক একটি স্থান। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমির ১০ কিলোমিটার গভীরে। ওই ভূমিকম্পটির পর বেশ কয়েকটি নিম্নমাত্রার ‘আফটার শক’ অনুভূত হয়েছে। ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থেমে থেমে অনুভূত হওয়া আফটার শকে বারবার কেঁপে উঠে ইতালি। সবচেয়ে তীব্র আফটার শকের মাত্রা ৫.৫। ভূমিকম্পে ইতালির আমাত্রিস শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোমের উত্তর-পূর্বের শহর আমাত্রিসের মেয়র সার্জিও পেরোজ্জি ইতালির আরএআই রেডিওকে জানিয়েছেন, শহরের অনেক অট্টালিকা মাটিতে গুড়িয়ে গেছে। অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শনও ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ ধসে পড়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সেরজিও পিরোজ্জি বলেন, ‘শহর থেকে বের হওয়ার এবং প্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের অর্ধেকই নাই হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংস্তুপের নিচে মানুষ চাপা পড়েছে। ভূমিধস হয়েছে। একটি সেতুও বোধহয় ভেঙে পড়েছে।’
ভূমিকম্পটির যেখানে উৎপত্তি হয়েছে সেখান থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে হওয়ার পরও তা ইতালির রোম শহরেও অনুভূত হয়েছে। আমাত্রিস ছাড়াও আকুমোলি, পোস্তা ও আরকোয়াটা ডেল ট্রন্টো শহরেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতালির দমকল বিভাগের প্রধান লুসা কারি জানান, উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি এলাকায় হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল।
/এএ/