কেভিনের ভাষায়, ঘটনাস্থল থেকে ছোট একটি দল উত্তর-পশ্চিম দিকে দৌড়ে পালায়। আমরা পুলিশ ও দৌড়ে পালানোর মানুষের মাঝে আটকা পড়ে যাই।
প্রত্যক্ষদর্শী এই ব্যক্তি বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল এক সঙ্গে দুটি ঘটনা ঘটছে। পুলিশ লা বকুয়েরিয়া এলাকার উভয় পাশ বন্ধ করে দিচ্ছিল। ভারি অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ আমাদের পাশ দিয়ে এগিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ আমাদের একটি মানি এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ে ঢুকিয়ে দেয়। সেখানে আমরা এক ঘণ্টার বেশি লুকিয়ে আছি।
বৃহস্পতিবার পর্যটন এলাকা লাস রামব্লাসে পথচারীদের উপর গাড়ি চালিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় অনেকে আহত হওয়ার কথা গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে ১৩ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে।পুলিশ ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
একই সময়ে একটি তুর্কি রেস্তোরাঁয় দুই বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা কয়েকজনকে জিম্মি করেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।রাস্তায় পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটে। তবে দুই হামলার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
স্থানীয় এল পেরিওডিকো পত্রিকা রেস্তেরাঁয় গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। তবে পুলিশ বা অন্য কোনও সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, রেস্তোরাঁয় জিম্মি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রেস্তোরাঁটি গাড়ি হামলার কাছেই অবস্থিত। বন্দুকধারীরাই গাড়ি নিয়ে পথচারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে আর্মড পুলিশ উপস্থিত হয়েছে।সূত্র: টেলিগ্রাফ, বিবিসি।
/এএ/