তুরস্কের সংসদে বিতর্কিত নির্বাচনি আইন পাস

মঙ্গলবার তুরস্কের সংসদে নির্বাচনকালীন বিধি সংস্কার করতে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। বিরোধী দল প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই নতুন আইন জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করে দেবে এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। রয়টার্স লিখেছে, নতুন আইন পাস হওয়া মাত্রই তুরস্কের সংসদ সদস্যদের অনেককেই উত্তেজিত হয়ে হট্টগোল করতে দেখা গেছে। তারা কেউ কেউ ঘুসাঘুসি, ধাক্কাধাক্কিও করেছেন।

1030845828

বিতর্কিত যে আইনটি নিয়ে এতো উত্তেজনা সেই আইনটি পাস হওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনি জোট গঠনের বিষয়টি একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে এলো। এতে ক্ষমতাসীনদের সুবিধা হবে। কারণ প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী এমএইচপি দলের রাজনৈতিক সমঝোতা শক্তিশালী। তারা আইনি প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি জোট গঠনের সুযোগ পাবে ওই আইন পাস হওয়ার কারণে।

তাছাড়া, ওই আইন পাস হওয়ার ফলে, নির্বাচন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি একাধিক আসনকে একীভূত করতে পারবে। তারা এক নির্বাচনি জেলার ব্যালট বাক্স অন্য জেলায় নিয়ে যেতে পারবে। স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ব্যালট পেপার বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে গত বছর গণভোট হলে তখনও বাদ-প্রতিবাদও হয়েছিল। বিরোধীদল ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা সেসময়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরদোয়ান সরকার সব সমালোচনার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট এতগুলো বিতর্কিত বিষয়ের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করে ফেললো।

ওই আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনও ভোটার চাইলে সেনাসদস্যরা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবে। সরকার মনে করে এতে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে শক্তিশালী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির হুমকি মোকাবেলা করা সহজ হবে। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা, বিশেষ করে প্রধান বিরোধীদল সিএইচপির প্রধান বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে সেনা উপস্থিতি ভোট গণনায় প্রভাব ফেলতে পারে। আর কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি সন্দেহ প্রকাশ করেছে, যেসব স্থানে তাদের শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে সেখানকার ব্যালট বাক্স অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।