পরিচয় মিলেছে ফ্রান্সের হামলাকারীর, আইএসের দায় স্বীকার

শনিবার প্যারিসের ছুরি হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।আদালত সূত্র জানায়, হামলাকারীর নাম খামজাত। তবে পুরো নাম প্রকাশ করেনি তারা। ইতোমধ্যে দায় স্বীকার করেছেন জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসও।

who-is-the-paris-attack-knifeman-suspect-named-as-khamzat-asimov-after-stabbing-leaves-one-dead-on-rue-monsigny

গত শনিবার প্যারিসের রাস্তায় এক জঙ্গি হামলাকারী ছুরি হাতে পথচারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় সে 'আল্লাহু আকবর ধ্বনি দেয়।' তার হামলায় নিহত হয়েছেন এক পথচারী, আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিজেও নিহত হয়। ওই ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট দায় স্বীকার স্বীকার করে বার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলাকারী চেচেন বংশোদ্ভূত একজন ফরাসি নাগরিক।

হামলার ঘটনাটি ঘটেছে প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে অপেরা ডিস্ট্রিক্টে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপের বরাতে জানা গেছে, প্যারিসের স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টার দিকে পুলিশের জরুরি সেবা বিভাগ হামলার বিষয়ে জানতে পারে। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায় এবং হামলাকারীকে নিরস্ত্র করতে গুলি চালায়। পুলিশ ইউনিয়নের মুখপাত্র রোকো কন্টেন্টো জানিয়েছেন, যখন সেখানে পুলিশ পৌঁছায় তখন পথচারীদের ছুরিকাহত করা জঙ্গি ‘তোমাদের হত্যা করব’ বলে চিৎকার করে ওঠে এবং পুলিশের দিকে তেড়ে যায়।

আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে হামলাকারীর নাম খামজাত এ। বিএফএম টিভিসহ অন্যান্য ফরাসি সংবাদমাধ্যমের মতে তার পুরো নাম, খামজাত আজিমভ। ২১ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর নাম ২০১৬ সাল থেকেই সম্ভাব্য জঙ্গিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার হামলায় নিহত ব্যক্তির বয়স ২৯। আহত চারজনের মধ্যে একজন চীনের ও একজন লুক্সেমবার্গের নাগরিক।

সাইট ইন্টেলিজেন্স জনিয়ায়েছে, আমাক নিউজ এজেন্সির মাধ্যমে আইএস দাবি করেছে, হামলাকারী তাদের খলিফা আবু বকর আল বাগদাদির আনুগত্যের শপথ নিয়েছিল। প্রকাশিত ভিডিওতে ফরাসি উচ্চারণে একজন তরুণকে কথা বলতে দেখা গেছে। যদিও কালো রঙের হুড পরে থাকায় তার চেহারা চিহ্নিত করা যায়নি।

ফরাসি সরকারের মুখপাত্র বেনিয়ামিন গ্রিভৌক্স জানিয়েছেন, ২০১০ সালে মায়ের ফরাসি নাগরিকত্ব পাওয়ার সূত্রে হামলাকারী খামজাত আজিমভও ফরাসি নাগরিকত্ব পেয়েছিল। প্যারিসে যাওয়ার আগে হামলাকারী দীর্ঘদিন  স্ট্রসবার্গে ছিল।

হামলার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্স ‘জঙ্গিদের এক ইঞ্চি পরিমাণ সুযোগ ছেড়ে দেবে না।’